Astro Olympiad Final Comment

ড. আফরোজা খুকি এবং ড. শুভ এর পরিচিতিমূলক ভ‚মিকাসহ দুই ছাত্র (১. মাহমুদ্দুন নবী ২. ফাহিম রাজিত হোসেন) ৫.৫.২০১৮ খ্রী: ১ সিদ্ধেশ্বরী লেন ঢাকাতে ‘‘অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড’ বিষয়ে আলাপ করতে আসেন। তার পরের দিনও আসেন। এই দুই দিনে বি. এ. এ-এর মশহুরুল আমিন মিলন-এর অনিয়ম বিষয়ে বিস্তারিত আই.ও.এ.এ বরাবরে করা অভিযোগ পত্র, বাংলাদেশে ‘অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড’ আয়োজনে অনুমোদন পত্র এবং ১২/১৩ পৃষ্ঠার বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন ‘অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড ‘অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স ২০১৮-এর আউটলাইন যার মধ্যে অলিম্পিয়াড কমিটি, অর্গানাইজিং টিম, একাডেমিক টিম, সাপোর্টিং অর্গানাইজেশন, ইম্পিলিমেইন্টেশন প্ল্যান, বাজেট অব বি. ডি. ও. এ. এ, কন্ট্রাকটস বিষয় সন্নিবেশিত করে কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সম্বলিত কাগজগুচ্ছ আমাদেরকে দেয়া হয়। উল্লেখিত কাজ তথা বি. ডি. ও. এ. এ-তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে তালিকায় যুক্ত কাজগুলি করার অনুরোধ জানানো হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মকান্ড পরিচালিত হবে বি. ডি. ও. এ. এ-এর অধীনে। বি. ডি. ও. এ. এ তে অন্তুর্ভুক্ত হয়ে উল্লেখিত কাজের সকল পর্যায়ে কো-অর্গানাইজার হিসেবে ‘ ‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’ কাজ করার কথা বলে যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব সম্পাদন করতে হবে এই প্রস্তাব করা হয়। ওই কাগজে ওপেন স্পেস নামে আরেকটি অপরিচিত সংগঠন কো-অর্গানাইজার হিসেবে ওই কাগজের মধ্যে লিখিতভাবে দেখা যায় (যার পরিচিতিমূলক বর্ণনায় নির্জলা মিথ্যা কথাও সন্নিবেশিত হয়েছে)। উক্ত আউট লাইনে অলিম্পিয়াড কমিটি শিরোনামে বর্ণিত আছে যে, বি. ডি. ও. এ. এ কমিটি ‘অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড’ অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড ‘অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও সততা বজায় রাখবে। উক্ত আউট লাইনে লিখিত ভাবে যে সকল উৎসাহি ব্যক্তিবর্গ আছেন তাদের নিয়ে একটি নীতি নির্ধারণী আলোচনা পূর্ব শর্ত হিসেবে আমি উল্লেখ করি। উক্ত সাক্ষাৎ প্রার্থী মাহমুদ্দুন নবী ও ফাহিম রাজিত হোসেন আমাদের প্রস্তাবে একমত হন। তাৎক্ষণিকভাবে ১ নং সিদ্ধেশ্বরীকে বি. ডি. ও. এ. এ-এর ২০১৮ এর প্রধান কার্যালয় হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। ‘অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড আয়োজন ইতোমধ্যে বিলম্ব হয়ে যাওয়ার কারণে অচ পক্ষ উদারভাবে বিষয়টি বিবেচনা করে মাহমুদ্দুন নবী, ফাহিম রাজিত হোসেন ও সাফি ইত্যাদিদের সহ কাজের বিস্তারিত পরিকল্পনা তখনি লিখিতভাবে গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী সারাদেশের জন্য পোষ্টার ছাপানো, গেঞ্জি ছাপানো, সার্টিফিকেট তৈরি, প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষা কেন্দ্রে ‘অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড অফিস (১. সিদ্ধেশ্বরী লেন, ঢাকা ১২১৭) থেকে প্রতিনিধি প্রেরণ পরীক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা ইত্যাদি ব্যয় অচ পক্ষ হতে নির্বাহ করা হয়। পূর্ব সিদ্ধান্ত মতে ৩১.৫.১৮ খ্রী: সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমন্ত্রণ স্বাপেক্ষে কো-অর্গানাইজার তথা বি. ডি. ও. এ. এ-এর একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বিগত আঞ্চলিক আয়োজনের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা গ্রহণ ও পরীক্ষার খাতা যাচাই-বাছাই প্রশ্নে সচ্ছতা ও সততা বজায় রাখার স্বার্থে দুইটি কমিটি তৈরি করতে হবে। এবং সমগ্র আয়োজন সততাসহ ও সুচারুরূপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি আউটলাইন তৈরির জন্য একটি কমিটি ‘ ‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’ হতে দু’জন (ড. সজিব আমানুল এবং জাহাঙ্গির আলম দীপু) এবং উক্ত ওপেন স্পেসের আহমদ আবদুল্লাহ রিফাত ও ফাহিম রাজিত হোসেনসহ গঠন করা হয়। সময় স্বল্পতার জন্য জুন মাসের ৮ তারিখে আউটলাইন কমিটির সভা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করার কথা নির্দিষ্ট করা হয়। ড. সজিব ও দীপু বিশেষ চেষ্টা করে উক্ত দুই সদস্যের কারণে আউটলাইন কমিটির সভা ৮ তারিখে আয়োজন করতে পারেননি, উক্ত দু’জনের সুবিধা মতো ঈদের পরে ২১, ২২ ও ২৩ তারিখ আমিসহ উক্ত জরুরি সভা আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ওই মৌলিক কাজটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে নিয়ম পদ্ধতি ঠিক করা হয়ে থাকলে তাদের পক্ষের এরূপ মতলববাজি চালানোর সুবিধা হতো না। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, প্রথমে দেয়া লিখিত নির্দিষ্ট সকল সিদ্ধান্ত ও শর্ত উল্টে ফেলে ফাউন্ডার মেম্বার, একাডেমিক কমিটি ইত্যাদি নামে যে অমোঘ চিরন্তন, অব্যয়, অক্ষয় ক্ষমতার বর্ণনা করে লিখিত শর্ত পুনরায় প্রদান করা হয় তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যায় যে, পোষ্টার ছাপানো, গেঞ্জি তৈরি ও ছাপানো, ব্যানার তৈরি, সার্টিফিকেট তৈরি, প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষা কেন্দ্র (স্বেচ্ছাসেবক ইত্যাদি) ব্যয় নির্বাহ, কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি প্রেরণ ব্যয় ও সরঞ্জাম পাঠানোর ব্যয়, আপ্যায়ন ইত্যাদি ব্যয়, মেধা ও শ্রম সাপেক্ষে কাজ আদায় করে ‘অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড বিষয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ সভায় গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে মতলব হাসিলের লক্ষ্যে জনৈক আহম্মদ আবদুল্লাহ রিফাত সর্বময় ক্ষমতার মালিক সেজে ২০ জুলাই ঢাকায় কেন্দ্রীয় ন্যাশনাল রাউন্ড এবং ন্যাশনাল ক্যাম্প ঘোষণা করেন। ২০ জুলাই কেন্দ্রীয় ন্যাশনাল রাউন্ড-এর তারিখ ঘোষণার অধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় দেশের সকল সংশ্লিষ্ট ছাত্র তাকে ফোন করে খোঁজ খবর নেয় হেতু তিনি তারিখ ঘোষণা করেছেন বলে মন্তব্য করেন। এর প্রতি উত্তরে আমি তাকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং নির্দিষ্ট কার্যালয়ে যোগাযোগ করার নিয়মের কথা উল্লেখ করি। অবাক কথা পরবর্তীতে এই ব্যক্তি মিথ্যাচার করেন যে, আমি তার ঘোষিত ২০ তারিখ সম্পর্কে কোনো আপত্তি করি নি। আমি সুস্পষ্টভাবে আপত্তি করেছি। তাকে আউটলাইন কমিটির মিটিং-এ নানা বাহানায় অনুপস্থিত না থেকে উক্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেই। অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষর, ন্যাশনাল রাউন্ড-এর তারিখ ঘোষণা, উৎসবের গেঞ্জি তৈরি, ময়মনসিংহে পরীক্ষার আয়োজনে আমার এবং দীপুর অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণে পরিষ্কার প্রতিয়মান হয় যে, লোকটি মিথ্যাবাদী, প্রতারক, লোভী, অসৎ, অসাংগঠনিক ও ধান্ধাবাজ।

উক্ত ব্যক্তির আলোচ্য নেতিবাচক গুণাবলি সম্পর্কে আলোচনা, বিশ্লেষণ ও মত বিনিময়কালে তার দায়িত্বশীল বন্ধুরা অকাট্য সাক্ষ্য প্রমাণ অস্বীকার করে দ্বিমত করেন নাই। দুঃখের ব্যাপার আলোচ্য ব্যক্তিটিই হলেন ঐ কুচক্রের অতি উৎসাহি, অতি সক্রিয়, নির্লজ্জ স্বঘোষিত নেতা। অত্যন্ত ভাবনার বিষয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ নমুনার নিম্নমানের লোকজন দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এটা কোনো মতে হতে পারে না।

অচ-এর অংশগ্রহণ সস্তা টেটনামি, ধূর্তামি, প্রতারণা, মিথ্যাচার দিয়ে গায়ের জোরে বাদ দেয়ার চেষ্টা করছে। এর থেকে স্পষ্ট আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ডেলিগেশন সদস্য এবং ডেলিগেশন লিডার উক্ত মিলনের অনুরূপ প্রতারণামূলক কৌশলে ও উদ্দেশ্যে পূর্ব নির্দিষ্ট করে রাখা আছে। যার কারণে কমিটি সমূহের এবং অচ-এর অংশগ্রহণ রহিত করতে সম্ভব সব রকমের সংগঠন প্রথা বিরোধী স্থুল, অবৈধ, অসাধু ও নির্লজ্জ কৌশল প্রয়োগ করেছে।

প্রথম সাধারণ সভা, যে সভায় জ্যোতির্বিজ্ঞান ঐতিহ্যমন্ডিত ব্যক্তি ( ড. শুভ, ড. শাহীন, ড. সজিব, পাপ্পু, দিপুসহ অনেকে) উপস্থিত ছিলেন, এবং ড. মাকসুদা আফরোজ খুকি যিনি ঐ সভার আলোচ্যসূচি এবং সিদ্ধান্তসমূহ সম্পর্কে অবগত এবং একমত আছেন, ঐ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত অপরিহার্য এবং মৌলিক সিদ্ধান্ত কোনোটাই ঐ কুচক্র পালন করে নাই। আঞ্চলিক পর্যায়ের পরীক্ষার সকল খাতা আজ পর্যন্ত দপ্তরে জমা দেয়নি। বি. ডি. ও. এ. এ কার্যালয় থেকে গৃহীত অর্থ, পণ্য এর হিসাব আজ পর্যন্ত দেয়নি। কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. আলি আজগর স্যারকে কোনো কিছু অবগত করেনি। তাকে তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য, অপদস্থ করা হয়েছে। তাদের যথেচ্ছা অসাধু মতলবের কর্মকান্ড সম্পর্কে অচ তথা আমরা অবগত নই।

দেশের সাধারণ ছাত্রদের প্রয়োজনে এবং সবাইকে যুক্ত করে সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান এর কোনো উৎসব আয়োজন এদের লক্ষ্য নয়। যা আমাদের সাথে কোনোভাবে চিন্তা, চেতনা, কাজের ধরণ-এ মেলার কথা নয় (৪৩ বছর যাবৎ জাতীয় আন্তর্জাতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থেকে ও আয়োজন করে এবং জাতীয় পর্যায়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক কাজের কারণে এবং সততা, নিষ্ঠা, সাংগঠনিক যোগ্যতার কারণে অচ তার গৌরবজনক একটি পরীক্ষিত স্তরে উন্নিত হয়েছে)। জ্যোতির্বিদ্যার বহুদিনের চর্চাজাত ভালোবাসা ও দরদ এবং সেহেতু নিঃশর্ত উদারতার কারণে ও সময় স্বল্পতার কারণে একটি অসাংগঠনিক প্রতারক, মিথ্যাবাদী, নির্লজ্জ ও অসৎচক্রের নিকট আমরা প্রতারিত হয়েছি, এর বেশি এ মূহুর্তে আমার বলার আর কিছু নাই।

খুকি মাতাজি, দীপেন, পাপ্পু ভাই, সজিব ভাই, সেলিম ভাই, দীপু ভাই ইত্যাদিদের নিকট আমি সংকোচ স্বীকার করছি। আপনারা সকলে আমার ব্যক্তিগত বিপদ ও বিপর্যয়ের বর্তমান কথা জানেন। তাৎক্ষণিক অসম্পূর্ণ এ মন্তব্য নিয়ে আপনারা সকলে অংশগ্রহণ করবেন। আমি সময়ে, সুযোগে প্রামাণ্য বিস্তারিত যুক্তিসহ অংশগ্রহণের আশা রাখি।

No Comments Yet

Leave a Reply

Your email address will not be published.