লয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলো দেশ

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুক্রবার সকাল ১০টার পর শুরু হয়ে বিকাল ৪টার কিছুক্ষণ পর শেষ হয়েছে।

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুক্রবার সকাল ১০টার পর শুরু হয়ে বিকাল ৪টার কিছুক্ষণ পর শেষ হয়েছে।

বলয়গ্রাস গ্রহণের সময় চাঁদের আড়ালে সূর্য পুরোপুরি ঢাকা পড়ে না। এ সময় চাঁদের চারপাশে সূর্যের আলোর একটি বলয় দৃশ্যমান হয়।

বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৬৪ সালের ১৭ ফেব্র”য়ারি।

বাংলাদেশে সকাল ১০টা ৫ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে গ্রহণকাল শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৪টা ৭মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। গ্রহণটির সর্বোচ্চ মাত্রা ছিলো শূন্য দশমিক ৯২০।

গ্রহণের কেন্দ্রীয় সময় ছিলো বেলা ১১টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড থেকে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট ২৪ সেকেন্ড পর্যন্ত।

সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যায় ২টা ৩১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে।

বাংলাদেশে শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সর্বোচ্চ ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড পুরো গ্রহণটি দেখা যায়।

বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারসহ বিভিন্ন স্থানে ২০টি ক্যাম্প স্থাপন করে।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শরীরচর্চা কেন্দ্রেও মাঠে ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন মাঠেও ক্যাম্প করা হয়।

সকাল থেকেই এসব কেন্দ্রে উৎসাহী দর্শকরা ভিড় করতে শুরু করেন। অনেকেই ছোট বাচ্চাদের সূর্যগ্রহণ দেখাতে নিয়ে আসেন।

আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারবাসী ও শত শত পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সেন্টমার্টিনে দাঁড়িয়ে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেন। পূর্ণ বলয়গ্রাস শুরু হওয়ার সময় শত শত পর্যটক ও দর্শক চিৎকার করে আনন্দ প্রকাশ করে।

কক্সবাজারে সর্বোচ্চ গ্রহণের সময় তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

অনুসন্ধিৎসু চক্রের সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্য জানান, এবারের বলয়গ্রাস গ্রহণ পথের বিস্তৃতি ছিল ৩০০ কিলোমিটারের মতো যা পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক অঞ্চলের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে।

তিনি আরো জানান, বলয়গ্রাস শুরু হওয়ার আগে বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজারে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বলয়গ্রাস শুরু হওয়ার পর আলো ও তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ২টা ৫ মিনিটে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পূর্ণ বলয়গ্রাস চলাকালে তা ছিল ২৪ দশমিক ০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শাহজাহান মৃধা বেণু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ আর কিছু নয়, চাঁদের ছায়া মাত্র। চাঁদের ছায়ায় যে প্রকৃতির কোনো ক্ষতি হয় না তা বোঝানোর জন্যই এ ক্যাম্পের আয়োজন।”

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আয়োজিত বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও কক্সবাজার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এস এম সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

১৫ জানুয়ারি ২০১০, (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

No Comments Yet

Leave a Reply

Your email address will not be published.