অক্টোপাসসহ বিভিন্ন আকৃতির নানা রঙের ঘুড়ি। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ হাজারো লোক। বাঙালি জাতির ঐতিহ্য এ ঘুড়ি উৎসবকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দুই দিনব্যাপী জাতীয় ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এ সময় আকাশে উড়ে বাংলা ঘুড়ির পাশাপাশি বেসাতি, ড্রাগন, ডেল্টা, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন ও অক্টোপাসসহ অর্ধশতাধিক ঘুড়ি।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনুর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ঝাং ঝু, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, প্রত্যেক বছর যদি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়, তাহলে পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে এ উৎসব।
অংশগ্রহণকারী ইসরাত ইমরান বলেন, ‘ঢাকায় আমরা ছোট বেলায় প্রচুর ঘুড়ি উড়াতাম। এখন আর সেই খোলা আকাশ নেই। তাই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মতো জায়গায় ঘুড়ি উড়াতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আমি মনে করি প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন করা দরকার।’
আরেকজন অংশগ্রহণকারী আসিফুল হোসাইন কায়সার বলেন, ‘সমুদ্রের খোলা আকাশে ঘুড়ি উড়াতে খুব ভাল লেগেছে। অনেক বছর পর ঘুড়ি উৎসবে অংশ গ্রহণ করতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে।’
নাসরিন সোলতানা নামের একজন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। ঘুড়ি উড়াতে খুব ভাল লাগে। আগামীতেও এ উৎসব ধরে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। সেই সঙ্গে নিত্য নতুন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই ঘুড়ি উৎসব। স্থানীয়দের পাশাপাশি এ ঘুড়ি উৎসবে মেতেছে পর্যটকরা। যা আগামীতেও আয়োজন করা হবে।’
চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ঝাং ঝু বলেন, ‘এধরনের ঘুড়ি উৎসব চীনে এক সময় হতো। এখন তেমন একটা হয় না। তাই এই দীর্ঘ সমুদ্রের পাশে এসে ঘুড়ি উড়াতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।’
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসব ঘিরে সমুদ্র সৈকতে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুড়ি উৎসব শুরু হয়েছে, যা পর্যটকরা নিজেদের মতো করে উপভোগ করছে।’
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু বলেন, ‘আর্থিক সংকট থাকলেও সফলভাবে উদ্বোধন হয়েছে ঘুড়ি উৎসবের।’
আগামীতে বাঙালির ঐতিহ্যের এ ঘুড়ি উৎসব আয়োজনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বাংলাদেশ জার্নাল