বাংলাদেশের ঘুড়ি প্রেমীদের বড় সংগঠণ বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন। যারা ঘুড়ি প্রেমিক ঘুড়ির জন্য যাদের ভালবাসা আছে, আকর্ষন আছে , যাদের টানে তাদের প্রতি বছর আয়োজন করা হয় জাতীয় ঘুড়ি উৎসব। সকলে মিলে ঘুড়ি উৎসব আযোজনে থাকে মহাঘুড়ি উড্ডয়ন, গোলাপ ঘুড়ি উড্ডয়ন, সহ¯্র ঘুড়ি উড্ডয়ন, বিশাল পকেট কাইট, ষ্ট্যান্ট কাইট, ড্রাগন কাইট, সিরিজ কাইট, ট্রেন কাইট, লায়ন ড্যান্স, রোমাঞ্চকর জর্বিং বল , মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফানুস উড়ানো, আলোক ঘুড়ি উড্ডয়ন, ঘুড়ি কাটাকাটি প্রতিযোগিতা ছাড়াও প্লেন শুভেচ্ছা উড্ডয়ন ও এরিয়াল ফটোগ্রাফি প্রদর্শনসহ আরও বিস্তৃত অনেক কিছুই থাকে। দেশ বিদেশের হাজার হাজার ঘুড়ি উৎসবপ্রেমী এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির পূর্বের শুক্র ও শনিবার দুইদিন ব্যাপী আয়োজন হয়। উৎসবের চার পাঁচ মাস পূর্ব হতে প্রস্তুতি মুলক কাজ হয়, কিছু কাজ সারা বছরই চলে। চার পাঁচ মাস পূর্ব হতে উৎসবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পত্র ও ফর্ম বিতরণ করা হয়। ফর্মের আগ্রহী অংশগ্রহণেচ্ছুগণ। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদল, সংগঠণের কেন্দ্রীয় শাখা সংগঠণের প্রতিনিধিগণ, আমন্ত্রীত দেশি-বিদেশী আমন্ত্রীত অতিথি বৃন্দ।
অতিথিবৃন্দ,সকল প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও সামাজিক ওয়েব সাইট মিডিয়ার আমন্ত্রিত সাংবাদিক বৃন্দ। বড় একটি স্বেচ্ছাসেবকদল সহ সকল অংশগ্রহণকারীদল শুক্রবার সকালে উৎসবস্থলে পৌছানোর লক্ষে বৃহষ্পতিবার রাতে ঢাকার ক্রীড়া পরিষদ অঙ্গিনা থেকে যাত্রা করে।
শুক্রবার সকালে পরিবেশ বিষয়ক একটি সেমিনার, গোল টেবিল বৈঠক সংশ্লিষ্ট গুনিজন ও পন্ডিতজনের অংশগ্রহণে আয়োজন হয়ে থাকে । দুপুরে সকলে মিলে দড়ি ধরে গান গেয়ে গেয়ে মহাঘুড়ি উড্ডয়নের সাথে সাথে উৎসব উদ্বোধন করা হয়। মহাঘুড়ি উৎসব অন্তিম পর্যন্ত উড্ডয়ন থাকে। এরপর অতিথিবৃন্দ থিম ঘুড়ি উড়িয়ে সহস্র ঘুড়ি উড্ডয়ন পর্ব সূচনা করেন।