জন্ম থেকে মৃত্যু, এই চলার পথটির নামই জীবন। কিন্তু সব জীবন অর্থবহ হয় না। সবার জীবন নিয়ে জীবনী হয় না, তাই ইতিহাস তাদের ধরেও রাখে না। ইতিহাস ধরে রাখে শুধু তাদেরই, যারা হয়ে ওঠেন বিশিষ্ট ও অনন্য-অসাধারণ জীবনের অধিকারী। যে জীবনকে সবাই শ্রদ্ধা করে। আবার অনেকে অনুকরণ-অনুসরণ করার চেষ্টা করে। এমন জীবন শুধু জন্মসূত্রে পাওয়া যায় না, এটা অর্জন করতে হয়, তৈরি করতে হয় কঠোর শ্রম, গভীর নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগ দিয়ে। এজন্য তৈরি কোনো পথ নেই, পথ তৈরি করে এগোতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রেরণা হয়ে পথ দেখায় এক মহৎ জীবনবোধ, আদর্শবোধ ও দেশপ্রেম। আমাদের সমাজে এমন মহৎ মানুষের সংখ্যা খুবই কম। মা-মাটি-মানুষের জন্য যেসমস্ত মানুষ আজীবন নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন শাহজাহান মৃধা বেনু।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞান সংগঠক, পরিবেশবাদী, ক্রিড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, গ্রীন ভয়েস এর উপদেষ্টা, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক, মৃধা বিজনেস লি. এর চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ড্রাগন এন্ড লায়ন ড্যান্স এসোসিয়েসনের জেনারেল সেক্রেটারি।
তিনি জন্মেছিলেন ১৯৫২ সালের ১ আগস্ট, বিক্রমপুরের সাতঘরিয়া গ্রামে। এই গ্রামটি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার অন্তর্গত, পূর্বে ছিলো ঢাকা জেলার অধীন। তার পিতার নাম আব্দূর খালেক মৃধা ও মাতা মাছুমা খাতুন। ১৯৫৮ সালে তাকে লৌহজংয়ের হলদিয়া জি, আর, বি, এম, হলদিয়া হাই স্কুল ভর্তি করানো হয়। এখানে ৫ বছর পড়াশুনা করার পর তাকে তার পিতার কর্মস্থল- চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার দোহাজারী জামাইজুরি এ রহমান হাইস্কুলে ভর্তি করানো হয়।
ছোটবেলা থেকেই তিনি বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত ও চঞ্চল প্রকৃতির। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞান ভাবনা ছিল তাঁর প্রিয়। পড়াশুনায় ও ছিলেন অসাধারণ মেধাবী। পড়াশুনাকালীন সময়েই তিনি ১৯৬৭ সালে ‘দোহাজারী ক্রিকেট ক্লাব’ প্রথম ক্রিকেট ক্লাব গঠন করেন। ঢাকা থেকে সকল ক্রিকেট সরঞ্জাম সংগ্রহ ও ব্যবহার করা শুরুও করেন তিনি।
স্কুলে পড়াশুনাকালীন সময়ে তিনি খেলনা বিজ্ঞানের প্রকল্প তৈরী করেন। বিজ্ঞান ও বিতর্ক ক্লাব গঠন করেন। নিয়মিত প্রকৃতি ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণে দলবেধে স্থানীয় পাহাড় ও জংগলে নিয়মিত ভ্রমণ ছিলো তার প্রিয় বিষয়। খেলাধুলা ও বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি তিনি নাট্য অভিনয় শিখতেন। ৩টি নাটকে তিনি নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৬৮ সালে স্কুলের পড়াশুনা শেষ করে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকাতে তার উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশুনা শুরু হয়। এ সময় তিনি পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হন। ছাত্র ইউনিয়ন গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রগতিশীল শিক্ষানীতির জন্য ছাত্র আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত রাখেন।
বারবার পিতার কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে তাকে একাধিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করতে হয়েছে। যে কারণে মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা ও পুরান ঢাকার জগন্নাথ কলেজ হয়ে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ থেকে তিনি আই,এস,সি পাশ করেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ঘনিষ্ট সমমনা যুবকদের নিয়ে দল গঠনকরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আসামের তেজপুর ক্যান্টনমেন্টে গেরিলা ট্রেনিং নেন। ২ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
যুদ্ধশেষে দেশের পুনর্বাসন-পুনর্গঠন কাজে অংশগ্রহণ করেন। জনত্রাণ ব্রিগেডে ও নিরক্ষরতা দূরিকরণ প্রশিক্ষণ ও নিরক্ষরতা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। অন্যান্য জনসেবামূলক কাজেও নিজেকে নিয়েজিত করেন। এ সময় তিনি ঢাকা কলেজে স্নাতক ক্লাসে ভর্তি হয়ে পড়াশুনাও অব্যহত রাখেন। তিনি ওই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেতে স্নাতক (বি এস সি) ডিগ্রী অর্জন করেন।
‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞান ক্লাব। এটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অনুসন্ধিৎসু চক্রের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শাহজাহান মৃধা বেনু প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৮ বছর অর্থাৎ ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্রের প্রধান প্রকল্পের প্রয়োজনে আকাশ দেখার জন্য বাইনোকুলার ২.৫ ইঞ্চি রাশিয়ান বাইনোকুলার, টেলিস্কোপ, ইত্যাদি তিনিই সংগ্রহ করেন। এছাড়া থিওডো লাইট, সেক্সটেন্টসহ অনেক লাগসই যন্ত্র এবং বাইকুলার ও টেলিস্কোপ ষ্ট্যান্ড, চার্ট, ইত্যাদি তৈরী করতে তিনি প্রধান ভূমিকা রাখেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী জালাল আহম্মেদের অর্থিক সহায়তায় এবং ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ সাহেবের সহযোগিতায় দেশের সর্ব বৃহৎ ১৬ ইঞ্চি রিফ্লেক্টিংমিড টেলিস্কোপ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউ. টি. এল-এর সহযোগিতায় সংগ্রহ করা হয়। দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশ চেনা, হ্যালির ধুমকেতু পর্যবেক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
১৯৮১ সালে কলকাতার নেহেরু চিলড্রেন মিউজিয়াম কর্তৃক আয়োজিত অলউন্ডিয়া সাইন্স প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিতহয়। এ প্রতিযোগিতায় শাহজাহান মৃধা বেনু তার চারজন সহযোগীসহ মুখরোচক অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বিষয়ে প্রকল্প নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং দলগত অন্যান্য প্রকল্পসহ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
শাহজাহান মৃধা বেনু ১৯৮৩ সালে কৃষ্ণনগর কটোয়া বিজ্ঞান লেখক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে হ্যালির ধূমকেতু পর্যবেক্ষণের জন্য শাহজাহান মৃধা বেনু এবং দীপেন ভট্টাচার্য এক সাথে দেশের প্রথম চারকোণা ৮ ইঞ্চি‘কফিন বক্স রিফ্রেক্টিং টেলিস্কোপ’ তৈরী করে ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে চূড়ান্তভাবে এ.আর. খান এবং আরও দু’জন অচ কর্মী (সিজার ও সেলিম) যুক্ত হয়ে জাহাজের ভাঙ্গা অংশ ব্যবহার করে সাধারণ টেলিস্কোপ তৈরী করেন।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের জন্মলগ্ন থেকেই বিজ্ঞান যাদুঘর ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করা হতো। ১৯৭৮ সালে প্রথম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবে মেলা আয়োজনে শাহজাহান মৃধা বেনু অনুসন্ধিৎসু চক্রের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মূল ভূমিকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিজ্ঞান সপ্তাহে বিজ্ঞান প্রকল্প উদ্ভাবক ও তৈরী কর্তা হিসেবে তিনি অসংখ্য পুরুস্কার পান। পরবর্তীতে প্রকল্প বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮২ সালে তিনি বিড়লা সাইন্স মিউজিয়াম ও বিড়ল প্লানেটরিয়াম মেলা ও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। কলকাতার বেহালা গ্লাইডিং ট্র্যাকে সংক্ষিপ্ত গ্লাইডার প্রশিক্ষণেও অংশগ্রহণ করেন।
২০১১ সালে নিজস্ব অর্থে পাঁচ যাত্রী বহণ ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের প্রথম হট এয়ার বেলুন চীন থেকে ‘জয়বাংলা’ সংগ্রহ করেন। এই হট এয়ার বেলুন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি নিজে পাইলট হিসেবে উড্ডয়ন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাসে ভারতের জয়পুরে হট এয়ার বেলুন-এর সংক্ষিপ্ত উচ্চতর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
২০১৩ সালে নিজস্ব অর্থে প্রথম মাইক্রো লাইট প্লেন যুক্তরাজ্য থেকে সংগ্রহ করেন শাহজাহান মৃধা বেনু। এই বেলুন ঢাকা ও কক্সবাজার এয়ার পোর্ট থেকে বহুবার উড়ানো হয়। তৎকালীন ফ্লাইং একাডেমির সভাপতি বীর উত্তম সাহা, ইউ আহম্মদ এবং আকরাম আহম্মেদ বীর উত্তম এবং ডাইরেক্টর সেফটি ও সিকিউরিটি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা ভক্ত জনাব আজাদের সহযোগীতায় প্রথম বেসরকারী উড়োযান উড্ডয়ন নীতিমালা ফ্রান্স, নেপাল, নেদারল্যান্ডের উড্ডয়ন নীতিমালার সাথে তুলনা করে তৈরী ও পেশ করা হয়।
২০১৪ সালে ১, সিদ্ধেশ্বরী লেন, ঢাকাতে নিজস্ব ভবনে নিজস্ব অর্থে মানমন্দির নির্মাণ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এ জাতের মূল্যবান কেসিগ্রেন ১৪ ইঞ্চি টেলিস্কোপ সংগ্রহ করেন শাহজাহান মৃধা বেনু।
১৯৭০ সালের ঘুর্ণীঝড় রিলিফওয়ার্ক থেকে শুরু করে অদ্যাবধি বহু ত্রাণ কাজে অংশ গ্রহণ করেন। বর্তমানের মহামারি কোভিট-১৯ এর প্রয়োজনে ছোটবড় ১৭টি রিলিফঅপারেশনপরিচালনাকরেনতিনি।
শাহজাহান মৃধা বেনুর জীবনের অধিকাংশ সময়ব্যাপী ডেলটা, কমপ্লেক্স ডেলটা, বহু রকমের বিচিত্র বক্স কাইট, বড়বড় পকেট কাইট, ত্রিবিজ কাইট, ষ্ট্যান্ট কাইট, ঘোষ্ট কাইট ইত্যাদি সহ বহুবিধ ঘুড়ির নকশা তৈরী ও ঘুড়ি তৈরী করেন। তার উদ্যোগে নিয়মিত উৎসব-সজ্জা-উপকরণ ও বহু ডিজাইনের টেরাকোটা টেপাপুতুল (সাতাশ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত), জায়েন্ট বেলুন (প্রায় বিশ ফুট), পাখি গেইট, মাছ গেইট, জায়েন্টফুটবল (বিশ ফুট), ক্রিকেট ব্যাট, বহুবিধ গেইট নকশা তৈরী ও ব্যবহার করা।
* আমাদের জীবন থেকে অপসৃয়মান নির্মল অনাবিল আনন্দ চিত্ব প্রফুল্লকর ঘুড়ি সংস্কৃতি চর্চা, অনুশিলন সারাবছর ব্যাপী কর্মশালা প্রদর্শনী, উৎসব-মেলা প্রতিয়োগিতার মাধ্যমে দেশে নূতন করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি।
* কিশোর বয়স থেকে প্রকৃতি, পাখি, গাছ, ফুল পরিবেশের ও বর্তমানে মহাকাশের নিয়মিত ছবি তোলা অব্যাহত রেখেছেন। এসব বিষয় নিয়ে তিনি গবেষণামূলক বই প্রকাশের কাজ শুরু করেছেন।
* যুক্তরাষ্ট্র, জার্মান, যুক্তরাজ্য, ভারত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর, চীন , শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া, উইক্রেন, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান,তুর্কিস্তান, পাকিস্তান,কানাডা, ইত্যাদি দেশ ও দেশের মানমন্দির ও জ্যোতির্বিজ্ঞান স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা নিজের দেশে স্থাপিত করেছেন।
* তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র’ এর সাধারণ সম্পাদক।
* জ্যোতির্বিজ্ঞান, অনুসন্ধিৎসু চক্রের সভাপতি।
* ‘তরু পল্লব’ (প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন) এর সহ-সভাপতি।
* সমুদ্র ও উপকূল বিষয়ক গবেষণা কমিটির আহ্বায়ক।
* ৩৫-৪০ বৎসর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত। এরোস্টার (এরো মডেলিং) এর সভাপতি।
* ‘অনু’ বিজ্ঞান পত্রিকা প্রথম প্রকাশক ও সম্পাদক।
* দিনলিপি, বঙ্গবন্ধু শাসন সময় এর সম্পাদক।
* বাংলাদেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন মৈত্রী সমিতির ডেপটি চীপ অব ভলান্টিয়ার ব্রিগেড।
* প্রায় প্রতি বছর জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় প্রতিযোগিতায় অসংখ্য পুরস্কার প্রাপ্ত এবং পরের বছরগুলিতে প্রজেক্ট বিচারের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন।
* মূলত বিজ্ঞান ক্লাব ভিত্তিক ১৯৭৫/১৯৭৭ সনের দিকে বিটিভি বিজ্ঞান অনুষ্ঠান আয়োজন ও কিছু অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন তিনি। জোতির্বিজ্ঞান, পরিবেশ, মুক্তিযুদ্ধ, নদী, ঘুড়ি ইত্যাদি বিষয়ে লেখা ও টিভি বক্তব্য ও আলোচনা তিনি অংশ গ্রহণ করেন।
* প্রামাণ্য চিত্র : নদী, বুড়ি গঙ্গা, জ্যোতির্বিদ্যা, মুক্তিযুদ্ধ, ৭১ এর শব্দ সৈনিক তৈরী ও তৈরীতে সহযোগিতায় অবদান রেখেছেন।
দেবদুলাল বন্দোপাথ্যায়, গোপাল হালদার, গেীরী প্রসন্ন মজুমদার, বাংলাদেশে ও দেশে গণহত্যা বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মান করা হয়েছে ও হচ্ছে।
বিভিন্ন সংগঠন সংশ্লিষ্টতা
সম্পাদক : প্রকৃতি পত্র (প্রকৃতি বিষয়ক ম্যাগাজিন)
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ-’৭১
প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন।
অ্যারো মডেলিং ক্লাব ‘এরোস্টার্স’ এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি। সফল ঘুড়ি ডিজাইনার ও এ্যারোমডেলার। ভূতপূর্ব ফ্লাইং ক্লাবের ফ্লাইং মেম্বার ।
প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও আজীবন সদস্য- অনুসন্ধিৎসু চক্র।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগ, অনুসন্ধিৎসু চক্র।
প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক- ড্রাগন লায়ন ড্যান্স ফেডারেশন।
সাধারণ সম্পাদক- ‘বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’।
সাধারন সম্পাদক- বাংলাদেশ চায়না সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক গন যোগাযোগ কেন্দ্র।
জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক সংশ্লিষ্টতা
* জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের ছাদে দেশের একমাত্র মান মন্দির নকশা ও নির্মাণ করেন।
* জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের আঙ্গিনায় দেশের একমাত্র পূর্নাঙ্গ সৌরঘড়ি (কারেকশান লাইন সহ) নির্মাতা ও দাতা।
* জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে ‘মিনি প্লানেটরিয়াম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা।
* ব্রিটিশ এস্ট্রোনমিকেল এসোসিয়েশনের সদস্য।
* সভাপতি- অনুসন্ধিৎসুচক্র মহাকাশ বিদ্যাবিভাগ।
* সদস্য- জাতীয় মেটিওরাইট(উল্কা পিন্ড) পর্যবেক্ষণ ও গবেষনা কমিটি।
* মেটিওরাইট (উল্কা পিন্ড) পরীক্ষা ও গবেষণা দল প্রধান ।
* বিশেষভাবে বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও প্রকৃতি বিষয়ক পত্রিকা,পুস্তক রচনা ও সম্পাদনা এবং প্রকাশনা।